ডিভোর্স দেয়া স্ত্রী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দশমিনা উপজেলার চর বোরহান ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুক্তভোগী শাহজাহান হাওলাদার।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শাহজাহান হাওলাদার বলেছেন, ২০১১ সালের ৭ নভেম্বর মুসলিম শরা-শরীয়ত ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের মো. রেজাউল করিমের কন্যা নাসরিন জাহান এর সাথে আমার বিবাহ হয়। এ বিবাহের দাম্পত্য জীবনে আমাদের ঔরষে ২ টি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু আমার স্ত্রী নাসরিন জাহানের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে ২০২৪ সালের ২০ মার্চ মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক ডিভোর্স দিয়েছি। এ ডিভোর্সের একমাস ৪ দিন পর ১২.০৫.২০২৪ তারিখ ডিভোর্স দেয়া প্রাক্তন স্ত্রী নাসরিন জাহান আমাকে ও আমার সহোদর দুই ভাইসহ ৪ জনকে বিবাদি করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে( মামলা নং-৫৬০/২০২৪)। এ চলমান মামলার ১৯.০৯.২০২৪ ইং তারিখ হাজিরা ছিল। আমি এ হাজিরা তারিখে হাজির হওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সকাল ৫ টায় পটুয়াখালীতে পৌছে জেলা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন হোটেল পার্কে ৪০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে বিশ্রাম করে ৯.৪৫ মিঃ সময় উক্ত আদালতে উকিলের মাধ্যমে হাজিরা শেষ করে পুনরায় হোটেল পার্কে উঠে ৪০৯ নম্বর কক্ষে বিশ্রাম করি যা সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে আমার হোটেলে থাকার সত্যতা পাওয়া যাবে। কিন্তু আমার ডিভোর্স দেয়া স্ত্রী নাসরিন জাহান আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ১৯.০৯.২০২৪ ইং তারিখ মিথ্যা মারধর ঘটনা দেখিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে যৌতুক মামলা (মামলা নং-৫৬০/২০২৪) দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান হাওলাদার আরও বলেন, “নাসরিন জাহান কর্তৃক দায়ের করা দুটি মামলারই ঘটনা ও অভিযোগ মিথ্যা কল্পিত মিথ্যা ঘটনা। নাসরিন জাহানকে মিথ্যা মামলা দিতে মদদ দিয়েছেন কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বাউফল উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারী মনির মোল্লা। আমাকে হয়রানি করার জন্যই নাসরিন জাহান ও মনির মোল্লার লোকজন বিজ্ঞ আদালতে উক্ত মিথ্যা মামলা করেছে। আমি মনির মোল্লা ও নাসরিন জাহানের বিচার চাই”।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহজাহান হাওলাদার ও তার আত্মীয়স্বজন এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।