পটুয়াখালী অফিসঃ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৭জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাউফল বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত।
সোমবার (২৮অক্টোবর) কারণ দর্শানোর নোটিশ গ্রহণ করেছেন বিবাদীগণ। আদালতের নোটিশে বলা হয়েছে, আদালতে দায়েরকৃত ১৬৮/২০২৪ দেওয়ানী মোকদ্দমায় নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে উল্লেখিত তফসিল সংক্রান্তে কেনো অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করা হইবে না জানতে চেয়ে ৭দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে নিষেধাজ্ঞা দরখাস্তের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর বাউফলের হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে দরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ১২জন সদস্যের মধ্যে ৯জন সদস্য। আদালত দরখাস্ত গ্রহণ করেন। যাহার দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ১৬৮/২০২৪। মোকদ্দমার বিবাদী করা হয়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং সভাপতি ও ইউএনও মো. বশির গাজী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রিয়াজকে৷
বিবাদী সাতজন নিয়োগ কার্যক্রম জড়িত ছিলেন। দরখাস্তে অভিযোগ করা হয়, ম্যানেজিং কমিটির মিটিং আয়োজন না করে, সকল সদস্যের সিদ্ধান্ত ছাড়া গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অধুনা প্রকাশ। কারণ ম্যানেজিং কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের ছাড়া নিয়োগের সিদ্ধান্ত সভাপতি ও সদস্য সচিব নিতে পারেন না। সভাপতি ও সদস্য সচিব বে-আইনী ভাবে অযোগ্য ব্যক্তিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল হওয়া একান্ত অবশ্যক। আদালতের দেওয়ানী মোকদ্দমার বিষয়টি জানানো হলেও তা উপেক্ষা করেন বিবাদীরা। মোকদ্দমার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে ২৬ অক্টোবর গোপনে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এজন্যই অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউএনও মো. বশির গাজী জানান, যথাসময়ে আদালতের নোটিশের জবাব দিবেন তিনি। প্রসঙ্গত, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন আব্দুল আজিজ। তিনি কালাইয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।