সালিশ বৈঠকে মারধর করায় মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা হয় ভূমি তহসিলদার মোঃ তারিকুল ইসলাম তারেক মুন্সি (৪৫) এর বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ভূমি তহসিলদার এবং পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের আজাহার মুন্সির ছেলে।
ছেলেদের মারধর করায় উপজেলার রামপুর গ্রামের আলতাফ হোসাইন (৭২)নামের এক ব্যক্তি তারেক মুন্সিকে প্রধান অসামী করে এ মামলা করেন। গত ২০ অক্টোবর মামলাটি এজাহার ভুক্ত হয়। মামলা নং-১১। কিন্তু এজাহারের ২ দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান অসামীসহ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলা সূত্রে জানাযায়, রামপুর গ্রামের জলিলুর রহমানদের সাথে আলতাফ হোসাইনদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলছিল। স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ কাঠালতলী এলাকায় বসে। এসময় জলিলুর রহমানদের পক্ষে সালিশদার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তহসিলদার তারেক মুন্সি। সম্পর্কে তিনি জলিলের খালাতে ভায়রাভাই। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারেক মুন্সিসহ ৭/৮ জন লোহার রড দিয়ে আলতাফের ছেলে সরোয়ার হোসাইন (৪৪), সাকুর(২৬) এবং এনামুল(২৩) কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী আলতাফ হোসাইন বলেন, আসামি পক্ষ খুবই শক্তিশালী। তারা ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। আমার ছেলে তিনটাকে অমানুষিকভাবে গরুরমতো পিটিয়েছে। মামলা করলাম কিন্তু কেউই গ্রেফতার হয়নি এখনো।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শামীম আহম্মেদ বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।