পটুয়াখালীর বাউফলে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামীর নাম মো. শাকিল হাওলাদার (২৫)। তিনি ওই গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনার পরে স্ত্রী সাথী আক্তার (২২) পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সাথী একই ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামের মো. ইউনুসের মেয়ে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে শাকিল ও সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এ জন্য শালিস বৈঠকও হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রোববার সকাল ৭টার দিকে ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়ে যান স্ত্রী।
পরে ভুক্তভোগী স্বামীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
‘যা হবার হয়েছে, কিছু বলার নাই’ দাবি করে আহত শাকিল হাওলাদার গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর তার স্ত্রী সাথী আক্তার পলাতক থাকায় তারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফাতেমা আক্তার জুথী জানান, ধারালো ছুরি বা চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ক্ষত অঙ্গের প্রায় ৭০ শতাংশ কেটে গেছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়ায় রোগী আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনেছে। অভিযুক্ত স্ত্রী লাপাত্তা হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত মামলা রুজু করা হবে বলেও জানান তিনি।