পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে আনলে ইলিশটি প্রায় ৭ হাজার টাকায় কিনে নেন মো. হাসান নামে এক ব্যবসায়ী।
সোমবার দিনগত মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন হাইরের চর এলাকায় আলমাছ খান মাঝি নামে এক জেলের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে।
ইলিশ মাছটি মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা বাজারের মনি ফিস মৎস্য আড়তে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলে আলমাছ। প্রথমে ৪ হাজার টাকা দাম উঠানো হয়। একের পর এক ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৮৪০ টাকায় ইলিশটি বিক্রি হয়।
জেলে আলমাছ মাঝি বলেন, ‘সাগরে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ কম–বেশি পাওয়া যায়। তবে এবছর এত বড় মাছ এই এলাকায় আর কেউ পায়নি।
গতকাল রাতে সাগরে জাল ফেললে এই মাছটি পাওয়া যায়। এসময় আরও সামুদ্রিক অন্যান্য মাছও পেয়েছি। পরে আজ সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারে আড়তে মাছটি ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।’
মনি ফিসের পরিচালক রুবেল ঘরামী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় ভাসা জাল দিয়ে মাছ শিকার করা জেলে আলমাছ খান মাঝি প্রায় সময়ই কম–বেশি বড় মাছ নিয়ে আসেন। কাল রাতে জাল তুলতে গেলে তাঁর জালে ইলিশটি ধরা পড়ে।
এ রকম বড় সাইজের ইলিশ এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত আর ধরা পড়েনি। মাছটিতে ডিম হওয়ার কারণে তুলনামূলক দাম একটু কম হয়েছে। ডিম না হলে আরও বেশি দামে মাছটি বিক্রি হতো।’
ডাকের মাধ্যমে মাছটি কিনে নেওয়া প্রতিষ্ঠান ফিস ভ্যালির পরিচালক মো. হাসান বলেন, ‘আমরা এই বাজারে সচারাচর এত বড় ইলিশ পাই না।
আজ এক জেলে মাছটি মনি ফিস আড়তে নিয়ে আসলে আমরা ডাকের মাধ্যমে তা কিনে নিই। আশা করছি এটি ঢাকায় পাঠালে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘বড় ইলিশ জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। এখন প্রায়ই গভীর সমুদ্রের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও বড় ইলিশ পাচ্ছে। বছরে সরকারের দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফল বলতে পারি এটা।’