পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় সাইফুল ইসলাম রাঢ়ী (২৮) নামের এক যুবদল নেতাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মাথা, দুই হাত মুখ ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সুবিদখালী বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইফুল ইসলাম রাঢ়ীর বাড়ি দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পূর্ব সুবিদখালী গ্রামে নুরুল হক রাঢ়ীর ছেলে ও উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই আহত যুবদল নেতার পিতা হারুন রাঢ়ী কিশোর গ্যং সদস্য সিয়াম মুন্সী ও আলোচিত আতাউল্লাহ হত্যা চেস্টা মামলার চার্জশিট ভুক্ত প্রধান আসামি তাওহীদকে অভিযুক্ত করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদে মিলাদুন্নবীর খাবার মাটিতে পড়া নিয়ে হাসান রাড়ী ও জুয়েল খানের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে চরখালী সমবায় বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে সিয়াম মুন্সী (২১) সাথে মাসুমের কথার কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে তা মীমাংসা হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে সিয়াম মুন্সির পিতা তারেক মুন্সি যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করে ওই ঘটনার সম্পর্কে জানতে চায় এবং ঘটনা স্থলে আসতে বলেন। সাইফুল ইসলাম ঘটনা স্থলে আসার সাথে সাথেই আগে থেকে পেতে থাকা সিয়াম মুন্সি ও তার পিতা তারেক মুন্সীর নেতৃত্বে অন্যান্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর জখম করে করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে পাঠান।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।