September 21, 2024, 3:24 am
শিরোনাম:
গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে চেনেন না মামলার বাদীরা! পটুয়াখালীতে এসএসসির সিলেবাস সংক্ষিপ্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেশ পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার ১৬ আসামির যাবজ্জীবন মা-বাবা ও ভাইকে হারিয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তোফাজ্জল প্রতিশোধ গ্রহনের উদ্দেশ্যে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ কলাপাড়ায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ। পটুয়াখালীতে জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নতুন কমিটি গঠন। জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ইয়ুথ কপ ২০২৪ সম্মেলনে পটুয়াখালীর তরুণ মেহেদী দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেকেই, দুবাই আছেন ওবায়দুল কাদের

মা-বাবা ও ভাইকে হারিয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তোফাজ্জল

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী অফিস:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ মারধরের শিকার হয়ে নিহত তোফাজ্জল হোসেন (৩২) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত আবদুর রহমান। তিনি নিজ ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। মা-বাবাহীন এই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন তার স্বজন, প্রতিবেশী ও রাজনৈতিক নেতা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ওই হলে চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, তোফাজ্জলকে আটকের পর গেস্টরুমে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করেন। একপর্যায়ে তাকে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর পুনরায় মারধর করা হয়। রাত ১০টার দিকে হলের হাউস টিউটররা ঘটনাস্থলে গেলে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা সেখানে রেখেই চলে আসেন।

কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সাবেক ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হাওলাদার বলেন, ‘তোফাজ্জল পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তবে ৩/৪ বছর ধরে প্রেম সংক্রান্ত একটি ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরে মা-বাবা ও ভাইকে হারিয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এখন তার পরিবারে আপন বলতে কেহ নাই। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েও বেঁচে থাকতে পারলো না, তাকে যারা এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে- আমরা তাদের বিচার চাই। এমন ঘটনায় যেন আর কারও জীবন দিতে না হয়।’

এ বিষয়ে তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাবাকে একজন ফোন দিয়ে বলেন, তোফাজ্জল চুরি করতে এসে ধরা পড়েছেন- এখন ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমার বাবা তার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে ওই নম্বরটি দেন। আমি ওই নম্বরে কল দিলে আমার কাছেও একই দাবি করেন। তখন আমি তাদের অনুরোধ করে বলি, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন তাকে আপনারা মাইরেন না- তাকে সন্দেহ হলে থানা পুলিশের কাছে দিয়ে দিন। তারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page