September 21, 2024, 3:22 am
শিরোনাম:
গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে চেনেন না মামলার বাদীরা! পটুয়াখালীতে এসএসসির সিলেবাস সংক্ষিপ্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেশ পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার ১৬ আসামির যাবজ্জীবন মা-বাবা ও ভাইকে হারিয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তোফাজ্জল প্রতিশোধ গ্রহনের উদ্দেশ্যে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ কলাপাড়ায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ। পটুয়াখালীতে জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নতুন কমিটি গঠন। জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ইয়ুথ কপ ২০২৪ সম্মেলনে পটুয়াখালীর তরুণ মেহেদী দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেকেই, দুবাই আছেন ওবায়দুল কাদের

জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

পটুয়াখালী অফিস:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা শাখা ছাত্রলীগের (জাবি) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি আশুলিয়ার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া মোল্লাবাড়ীর ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শামীমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জানা যায়, ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সামনের সারিতে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন শামীম। এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেন।

এরপর শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নেওয়া হয়। সেখানেও তাকে পেটানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি আশুলিয়া থানায় জানালে পুলিশ শামীম মোল্লাকে আটক করে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, “আমাদের এখানে আনার পর পরীক্ষা করে দেখি তিনি মৃত। অর্থাৎ তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।”

নিহত শামীমের শরীরে সেরকম গুরুতর কোনো ক্ষত পাওয়া যায়নি বলে জানান চিকিৎসক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, “গণপিটুনির খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩৯ ব্যাচের এক সাবেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নেন। পরবর্তীতে পূর্বের মামলায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।”

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “খবর পেয়ে পৌনে ৯টার দিকে মারধরের শিকার এক যুবককে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি।”

ওসি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page