রুবাইয়াত হক মেহেদীঃ আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ৫৭০ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে পবিত্র মক্কা ভূমিতে মা আমিনার কোল আলো করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই দিনটি বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও মর্যাদায় দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
ইসলামের ইতিহাস অনুসারে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতের ধারায় শেষ নবী ও রাসূল। পুরো আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতা ও পাপের অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন মহান আল্লাহ তাআলা শুধু আরব নয়, পুরো বিশ্বের জন্য জ্ঞান ও শান্তির আলো হিসেবে পাঠিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় হাবিব বিশ্বনবী (সা.) কে।
৪০ বছর বয়সে মুহাম্মদ (সা.) নবুয়াত লাভ করেন। এরপর থেকেই বিশ্ববাসীকে শান্তি ও আলোর পথে আহ্বান জানাতে শুরু করেন তিনি। সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার আর দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মহানবী (সা.) মানবজাতির মুক্তির বার্তা নিয়ে এনেছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে জন্মের দিনেই ইন্তেকাল করেন তিনি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশবাসী ও পুরো মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানান।
যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহানবীর (সা.) জীবনের ওপর আলোচনা সভা, মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।