পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বাজারঘোনা ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় আসামি করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুঃ হেলাল আহম্মেদ রিপন’কে। এ ছাড়া এই মামলায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বশির মৃধাকেও আসামী করা হয়েছে। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সদর থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী হাবিবুর রহমান বাজারঘোনা সুলিজগেট সংলগ্ন এলাকায় মুদি, মনোহরী দোকান সহ অটো রিকশা ভাড়া দিয়া জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত আসামিরা তার (হাবিবুর রহমান) কাছে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। মামলায় মোট ১০ জন সহ অজ্ঞাত নামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। আর এই আসামীর ১০ নম্বর তালিকায় মুঃ হেলাল আহম্মেদ রিপনকে আসামী করা হয়।
যুবলীগ নেতার মামলায় আসামী সাংবাদিক মুঃ হেলাল আহম্মেদ রিপন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বাদীর সাথে আমার কোন পরিচয় নেই। কয়েকদিন আগে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি আমাকে মামলার হুমকি দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে আসামী করা হতে পারে।
মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বশির উদ্দিন সিকদার জানান, ‘আমি দির্ঘদিন ধরে আমার ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকা অবস্থান করছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে আমি বিএনপি’র আমলে এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার অনেক শত্রু থাকতে পারে।
এ বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করবে এবং নিরাপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।’