পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা লুটপাটের ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন যুবদল নেতা রিমানুল ইসলাম রিমু ও সাইফুল ইসলাম মৃধা। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে এবং নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দীতায় প্রতিপক্ষরা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীকে ভুল বুজিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর রোডস্থ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতা রিমু ও সাইফুল এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রতিবেশী ফিরোজ আশরাফের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। বিবাদী পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করলে ৭.০৫.২৪ ইং তারিখ না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত। সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকার সুযোগে আমার অনুপস্থিতিতে ফিরোজ আশরাফ গত বছরের ১৩ নভেম্বর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের নিয়ে বসতবাড়ির ৬ শতক জমি জবর দখল করে নেয়। এ সময় আমার ৭৮ বয়সী বৃদ্ধ পিতাকে চর থাপ্পর মারে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিকালে বাড়িতে গিয়ে আমার পৈতৃক জমিতে ঘর তোলার কারন জিজ্ঞাসা করলে ফিরোজ আশরাফ ও তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি সোঠা নিয়ে আমার উপর হামলা করার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকার লোকজন হামলা প্রতিহত করে। এ খবরে জেলা যুবদলের সহ- সভাপতি মো. রিমানুল ইসলাম রিমু ও পৌর যুবদলের সভাপতি রুহুল আমিন আকরাম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংবাদ সম্মেলনে রিমানুল ইসলাম রিমু জানান, তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। এ পদে আরো একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দীরস আমাকে ফাসাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কেটে অংশ বিশেষ সংবাদকর্মীদের সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান যুবদল নেতা রিমু।
সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই তাদের নাম বলা হয়েছে বলেও জানান যুবদল নেতৃদ্বয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর শাখা যুবদলের সভাপতি রুহুল আমিন আকরাম, সদর শাখার যুগ্ম আহবায়ক আবু শাহিন প্রমুখ।