পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শোয়েবসহ ৪২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ের স্টাফ মস্তফা আকন (৩৬) বাদী হয়ে রোববার দুপুরের সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিফ সহ অন্যান্যরা। সকল আসামীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, গত ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাদি মোস্তফা আকন বনানী এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ে গেলে আসামীরা তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামীরা তাকে মারধর করে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং এক সপ্তাহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আসামীদের হুমকি-ধমকীতে প্রাণনাশের ভয়ে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জসীম জানান, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা রুজু হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার তদন্ত চলছে।