সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতে উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জেলেদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তাদের আশা ছিল বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। কিন্তু ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২৩ জুলাই মধ্যরাতে শেষ হলেও নদ-নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় মাছ শিকারে যেতে পারেননি তারা। মাঝে কিছু দিন আবহাওয়া ভালো থাকলেও ইলিশের দেখা মেলেনি তেমন। এরপর আবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না এখানকার জেলেদের।
এ দিকে শনিবার (১৭ আগস্ট) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতেও গতকালের তুলনায় পানি একটু বাড়তি রয়েছে। সকাল থেকে ভ্যাপসা গরম লক্ষ করা গেলেও দেখা মেলেনি বৃষ্টির। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। জেলেদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও তাদের ফিরতে হচ্ছিল খালি হাতে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে ট্রলারের মালিক ও জেলেদের। মাঝে আবহাওয়া কয়েকদিন ভালো ছিল কিন্তু এখন আবার খারাপ হওয়ার পথে। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন এখানকার জেলেরা। আশা করি দ্রুতই আবহাওয়া ভালো হয়ে যাবে, তখন স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে পারবে জেলেরা।